Our team has over 7,000,000 traders!
Every day we work together to improve trading. We get high results and move forward.
Recognition by millions of traders all over the world is the best appreciation of our work! You made your choice and we will do everything it takes to meet your expectations!
We are a great team together!
InstaSpot. Proud to work for you!
Actor, UFC 6 tournament champion and a true hero!
The man who made himself. The man that goes our way.
The secret behind Taktarov's success is constant movement towards the goal.
Reveal all the sides of your talent!
Discover, try, fail - but never stop!
InstaSpot. Your success story starts here!
গতকাল মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রকাশের পর ট্রেডাররা ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের আরেক দফা উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কারণ বর্তমানে মূল্যস্ফীতি থেকে দৃষ্টি সরে এসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও শ্রমবাজার সংকটগুলোর দিকে যাচ্ছে।
ট্রেডার ও অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের এক চতুর্থাংশ শতাংশ কমিয়ে 3.75%-এ নামিয়ে আনবে—যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর হবে।
পূর্বে ধারণা করা হচ্ছিল যে, আগের মতো এবারও মুদ্রানীতি সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু বেইলির ভোটই নির্ধারক হবে, কিন্তু গতকাল মূল্যস্ফীতির অপ্রত্যাশিত পতনের—যা বছর শেষে কমে ৩.২%-এ দাঁড়িয়েছে, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন—এই ধরণের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতে মজুরি বৃদ্ধির গতি কমেছে এবং টানা দুই মাস দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সংকোচনের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আশা করা হচ্ছে যে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির ব্যাপারে 'হকিশ' বা কঠোর অবস্থানধারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত একজন তাঁদের অবস্থান পরিবর্তন করে 'ডোভিশ' বা নমনীয় নীতি অনুসারী সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। এই পক্ষে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর ডেভ র্যামসডেন ও সারাহ ব্রিডেন।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তে যদি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে এটি একটি স্পষ্ট বার্তা হবে যে তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি এবং সম্ভাব্য মন্দার শঙ্কা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে উৎপাদন খাতের দুর্বলতা ও খুচরো বিক্রয়ে সংকোচনের দিকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপর চাপ বাড়িয়েছে।
সুদের হার কমানোর উদ্দেশ্য হলো ঋণদান ও বিনিয়োগে উৎসাহ জোগানো, যার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তবে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অসংগতির মধ্যে এই পদক্ষেপের প্রভাব সীমিত হতে পারে। তাছাড়া, কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন যে মুদ্রানীতি অতিরিক্ত নমনীয় করা হলে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের দরপতন এবং মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আজকের সিদ্ধান্ত ফরেক্স মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। সুদের হার কমলে, তা পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে কম আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিবৃতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে ভবিষ্যৎ কৌশল ও অর্থনৈতিক উদ্দীপনার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতির ধারণা পাওয়া যায়।
যেকোনো পরিস্থিতিতে, বর্তমানে মার্কেটে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৯০%-এর বেশি হিসেবে মূল্যায়িত হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে আরও একবার সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আজ নতুন পূর্বাভাসও প্রকাশ করতে পারে, যেখানে ২০২৫ সালের শেষভাগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। নভেম্বর মাসে চলতি বছরের শেষ তিন মাসের জন্য ০.৩% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তবে গত সপ্তাহে প্রকাশিত অফিসিয়াল প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, উৎপাদন টানা দ্বিতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে এবং বাজেট ঘোষণার আগের মাসে (নভেম্বর) পরিচালিত জরিপগুলোও এই খাতে দুর্বল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রধান কাজ হবে এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3385-এ পুনরুদ্ধার করা। এতে সফল হলে, এই পেয়ারের মূল্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3420-এর দিকে যেতে পারে—যার উপরে ব্রেকআউট হওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3450 লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে মূল্য 1.3350 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই পেয়ারের মূল্য যদি এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, তাহলে এটি বুলিশ পজিশনের উপর একটি গুরুতর ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য কমে গিয়ে 1.3320-এ পৌঁছাতে পারে—এবং সম্ভাব্যভাবে আরও দরপতনের শিকার হয়ে 1.3285 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।