empty
 
 
bd
Support
Instant account opening
Trading Platform
Deposit/Withdraw

03.12.202511:50 ফরেক্স বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা: বিশ্ব অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব মানিয়ে নিচ্ছে

OECD-র মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রত্যাশার চেয়ে কম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ, পাশাপাশি সহায়ক রাজস্ব ও মুদ্রানীতিগত পদক্ষেপ—যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন যোগাচ্ছে।

Exchange Rates 03.12.2025 analysis

যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক নির্দিষ্ট কিছু খাত ও দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তবুও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল থেকে যাচ্ছে। এই স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান কারণ প্রযুক্তিগত খাতের অগ্রগতি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের। সরকার ও বেসরকারি উভয় পর্যায় থেকে AI-ভিত্তিক প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। প্রক্রিয়াগত স্বয়ংক্রিয়তা, সরবরাহ শৃঙ্খলের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং নতুন AI-ভিত্তিক পণ্য ও পরিষেবার বিকাশ বাণিজ্য যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে।

তার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের সরকার বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েনের প্রভাব মোকাবিলায় নিজ নিজ অর্থনীতিকে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কর হ্রাস, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং নিম্ন সুদের হার ভোক্তাদের চাহিদা ও বিনিয়োগ কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।

তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মানে এই নয় যে, বাণিজ্য শুল্কের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই শুল্ক এখনো বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য প্রবাহকে ব্যাহত করছে, ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে তুলেছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ওপর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থাটি তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে চলতি ও আগামী বছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে, পাশাপাশি অন্যান্য প্রধান অর্থনীতি নিয়েও সামান্য ঊর্ধ্বমুখী সংশোধনী এনেছে। তবে এরপরও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ৩.২% থেকে কমে ২০২৬ সালে ২.৯%-এ নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, কারণ এই সময়ের মধ্যেই বাণিজ্য শুল্কের সামগ্রিক প্রভাব বাস্তব অর্থনীতিতে দৃশ্যমান হতে শুরু করবে।

ECD-এর সেক্রেটারি-জেনারেল ম্যাথিয়াস কোরমান বলেন, "বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তীব্র মন্থরতার আশঙ্কা এবং ব্যাপক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতি এ বছর দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। তবে, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে এবং আমরা আশা করছি, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শেষপর্যন্ত পণ্যের মূল্য বাড়বে, যা অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে ভোক্তা ব্যয়ের বৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক বিনিয়োগ হ্রাস করতে পারে।"

উল্লেখযোগ্য যে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত OECD পূর্বাভাস দিয়েছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে ১.৬%-এ নেমে আসবে। তবে সেপ্টেম্বরে এটি সংশোধন করে ১.৮% করা হয়, এবং বর্তমানে পূর্বাভাস অনুসারে ২% প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে, বাণিজ্য নীতিমালায় দ্রুত পরিবর্তনের আশঙ্কার সাথে মিলিয়ে OECD জানিয়েছে যে এই প্রবণতা বেশ দুর্বল এবং তাদের প্রকাশিত পূর্বাভাসগুলো উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1650 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। কেবল এটি নিশ্চিত করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1680-এ পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ধরা যেতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1730। যদি এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয় তাহলে মূল্য প্রায় 1.1625 লেভেলে থাকা অবস্থায় আমি ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1590-এর লেভেলে পুনরায় নেমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত হবে, অথবা 1.1560 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3250-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। কেবল এটি নিশ্চিত করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3270-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে, যা ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা বর্তমানে 1.3300 লেভেলে রয়েছে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হতে থাকে, তাহলে মূল্য 1.3225 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করবে। মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করতে পারলে, সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে এবং GBP/USD-এর মূল্য 1.3203-এর লেভেলে নেমে যাবে, এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3170 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

বিশ্লেষকদের পরামর্শসমূহের উপকারিতা এখনি গ্রহণ করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন

ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.