empty
 
 
bd
Support
Instant account opening
Trading Platform
Deposit/Withdraw

09.05.202511:08 ফরেক্স বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের খবরে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে। তবে, এই চুক্তি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই এখনো পরিষ্কার নয়।

গতকাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তিকে "ঐতিহাসিক অর্জন" বলে আখ্যায়িত করেন এবং এটিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্কারের তার বিপ্লবী প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে, প্রেসিডেন্ট যখন চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করতে শুরু করেন, তখন স্পষ্ট হয় যে এটি তার প্রতিশ্রুত পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তৃত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সঙ্গে মিলছে না।

Exchange Rates 09.05.2025 analysis

ট্রাম্প আশা করেছিলেন এই চুক্তির মাধ্যমে তার অর্থনৈতিক এজেন্ডার ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে—যেটা কিছুটা হলেও সত্য হয়েছে, কারণ ডলার ও মার্কিন স্টক সূচকগুলো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে: এই প্রতিক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হবে?

চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজারে প্রবেশাধিকার বিস্তার ও শুল্ক কার্যক্রমে নমনীয়তা প্রদান করে, আর যুক্তরাজ্য পেয়েছে গাড়ি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে সীমিত শুল্ক ছাড়। তবে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।

ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনের অধ্যাপক টিম মায়ার বলেন, "যারা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন, তাদের জন্য এটি খুব বড় কিছু নয়, এখানে আসলে দেখার মতো কিছু নেই। এটি একটি কাঠামোগত দলিল, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি নয়, সেটিই স্পষ্ট।"

এক প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প যখন চুক্তির গুরুত্ব অতিরঞ্জিত করেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেন এটি "উভয় পক্ষের জন্যই দারুণ একটি চুক্তি।" তিনি আরও যোগ করেন, "প্রত্যেক দেশই চুক্তি করতে চায়।" ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং তার প্রশাসনের ওপর আস্থা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে, এই চুক্তিকে এক ধরনের রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা স্পষ্ট ছিল—বিশেষ করে যখন তার শুল্কনীতি বিশ্ববাজারকে অস্থির করে তুলেছে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। যদিও ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে তার বাণিজ্য নীতির ফলে স্বল্পমেয়াদে দুর্ভোগ দেখা গেলেও দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়বে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে কিছু ছাড় দিতে বাধ্য হয়েছেন, যার ফলে এই চুক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নয়, বরং অগ্রগতির একটি শো-পিস বলেই মনে হয়েছে।

ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই বাণিজ্য কাঠামোকে "একটি বড় অগ্রগতি" হিসেবে বর্ণনা করেন, যা মার্কিন পণ্যের জন্য বাধা অপসারণ এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ তৈরি করবে—যা বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন। তবে, এই চুক্তি মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে খুব অল্প কিছু পরিবর্তনই এনেছে।

যুক্তরাজ্য এখনো ডিজিটাল পরিষেবা কর বজায় রাখবে, যা বড় মার্কিন টেক ফার্মগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে, এবং কেবল ভবিষ্যতে ডিজিটাল বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার একটি অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ফার্মাসিউটিক্যাল শুল্কের বিষয়টিও অনিষ্পন্ন থেকে গেছে। যদিও যুক্তরাজ্য কিছু মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিয়েছে, তবে খাদ্য নিরাপত্তার কঠোর মান বজায় রেখেছে।

শেষ পর্যন্ত, চুক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেবে, কিন্তু হোয়াইট হাউস বলেছে তারা এ বিষয়ে "বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা" করবে এবং এই কাঠামো একটি "নতুন বাণিজ্য অংশীদারত্ব" প্রতিষ্ঠার ভিত্তি।

উল্লেখ্য, এই খবরে ডলার শক্তিশালী হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ


ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3250 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3285-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3310 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3212 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3170 এর লো লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভবত আরও নিচে 1.3125 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ


EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে 1.1260 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1310 টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে 1.1370 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দকেহা যেতে পারে, তবে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা অর্জন কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1400 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তবে 1.1205-এর কাছাকাছি ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেখানে যদি সাপোর্ট লেভেল খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে 1.1150 এর লো লেভেলের টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1097 থেকে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

বিশ্লেষকদের পরামর্শসমূহের উপকারিতা এখনি গ্রহণ করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন

ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.