empty
 
 
bd
Support
Instant account opening
Trading Platform
Deposit/Withdraw

22.04.202508:35 ফরেক্স বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা: ২২ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

Exchange Rates 22.04.2025 analysis

সোমবার পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোনো দেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও নতুন করে কোনো শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন। তবুও, বিশ্ববাজারে সামগ্রিকভাবে এখনও মার্কিন ডলারের প্রতি তীব্র নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। ফলে, আমরা মার্কেটে ট্রেডিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডলারের আরেকটি দরপতনের আশা করিনি, তবে আবারও বলি, এখন এই ধরনের পরিস্থিতি আর অবাক করার মতো কোন বিষয় নয়। মার্কিন ডলার টানা দুই মাস ধরে (মোট তিন মাস) অবিরাম দরপতনের শিকার হচ্ছে। নতুন দিন শুরু হয়েছে ডলারের আরেকটি দরপতনের মাধ্যমে—আবারও রাতে দরপতন হয়েছে। এই মুহূর্তে, মার্কিন মুদ্রার কোনো সুযোগই নেই। এটির দরপতন অব্যাহত রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

Exchange Rates 22.04.2025 analysis

সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেরা সিগন্যালটি রাতের বেলা দেখা যায়। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার সাথে সাথে 1.3272 লেভেল থেকে মূল্য বাউন্স করে কমপক্ষে 140 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে এই সিগন্যাল থেকে লাভ নেওয়া কঠিন ছিল, কারণ এটি রাতের বেলা পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় বাই সিগন্যালটি 1.3365 লেভেলের কাছে গঠিত হয়, যা নিয়ে কাজ করা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল, যদিও এর পরে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। তৃতীয় সিগন্যালটি আবারও একই 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি তৈরি হয় রাতের শেষ দিকে। তারপর, মূল্য আবারও 1.3365 থেকে বাউন্স করে এবং রাতে ভালো রকমের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখায়।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আছে। ফলে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকছে। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনও সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল—আর কিছুই নয়।

মঙ্গলবার আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো স্থানীয় কারণ নেই। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপে তাড়াহুড়া করছেন না, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমছে, এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা আপাতত এসব কিছুই গুরুত্ব দিচ্ছে না।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3272, 1.3365, 1.3428–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। তবুও, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

বিশ্লেষকদের পরামর্শসমূহের উপকারিতা এখনি গ্রহণ করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন

ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.