empty
 
 
bd
Support
Instant account opening
Trading Platform
Deposit/Withdraw

17.04.202512:40 ফরেক্স বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা: পাওয়েল এই বছর ফেডের আরও কঠোর নীতির ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন

গতকাল অনুষ্ঠিত ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার পর ইউরোর মূল্যের খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তবে ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য দরপতনের শিকার হয়েছে।

পাওয়েলের মতে, বর্তমানে ফেড কংগ্রেসের নির্ধারিত দ্বৈত ম্যান্ডেট—সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান ও মূল্য স্থিতিশীলতার ওপর ফোকাস করছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা অর্জনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। তিনি বলেন, "উচ্চমাত্রার অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মন্দার ঝুঁকি সত্ত্বেও, মার্কিন অর্থনীতি এখনো শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমবাজার পূর্ণ কর্মসংস্থানের কাছাকাছি রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবে এখনও আমাদের ২% লক্ষ্যমাত্রার সামান্য ওপরে রয়েছে।"

Exchange Rates 17.04.2025 analysis

তিনি আরও জানান, প্রথম প্রান্তিকের নতুন জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে। পাওয়েল বলেন, "উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছে।" তিনি জানান, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিমালার প্রেক্ষিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রিম আমদানি সম্পন্ন করায় ভোক্তাদের ব্যয় ও আমদানি খাতে প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কিছুটা সহায়তা করেছে, তবে বছরের বাকি সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর চাপ বাড়বে। তিনি জানান, "পরিবার ও ব্যবসায়িক খাতে পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে, যার মূল কারণ বাণিজ্য নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ।"

শ্রমবাজার নিয়ে পাওয়েল বলেন, বছরের প্রথম তিন মাসে মাসিক গড়ে ১৫০,০০০ ননফার্ম পে-রোল যোগ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সংখ্যা কমেছে, তবে কম ছাঁটাই এবং সীমিত শ্রমশক্তি প্রবৃদ্ধির কারণে বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পাওয়েল উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে চাকরির সংখ্যা বনাম চাকরিপ্রার্থীর অনুপাত এখনও ১-এর কিছু ওপরে। তিনি বলেন, "মজুরি বৃদ্ধি মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তবে এখনও মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে এগিয়ে। সামগ্রিকভাবে, শ্রমবাজার টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে, এবং এটি মুদ্রাস্ফীতির প্রধান উৎস নয়।"

মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পাওয়েল বলেন, "মহামারির সময় ২০২২ সালের মাঝামাঝি যে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে—তবে তা বেকারত্ব বৃদ্ধির মতো বেদনাদায়ক পরিণতি ছাড়াই। মুদ্রাস্ফীতিতে অগ্রগতি ধীর গতির হলেও, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি এখনও আমাদের ২% লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে।"

মুদ্রানীতি নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা কেবল তখনই নীতিতে পরিবর্তন আনব, যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্যনীতির প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাব। শুল্ক আরোপের ফলে স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে, এমনকি এটির প্রভাব দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।" তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা যেন দৃঢ়ভাবে স্থির থাকে এবং এককালীন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি যেন স্থায়ী সমস্যায় রূপ না নেয়—এটি নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান ও মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখব।"

শেষে পাওয়েল স্বীকার করেন, ফেড এখন এমন একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের দ্বৈত ম্যান্ডেট অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে এবং তিনি ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:

বর্তমানে ক্রেতাদের লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্য যাতে 1.1405 লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায়। তবেই 1.1467 এর লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1525 পর্যন্ত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন কঠিন হবে। চূড়ান্ত টার্গেট থাকবে 1.1545 লেভেলে। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে কেবল 1.1340 লেভেলের কাছাকাছি বড় ধরনের ক্রয়ের পদক্ষেপের আশা করা যায়। যদি সেখানেও সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1260 এর নিম্ন বা 1.1165 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যুক্তিযুক্ত হবে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:

পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.3240 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। তবেই তারা 1.3290 এর টার্গেট নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকবে 1.3340 এর জোনে। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3190 লেভেলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3130 পর্যন্ত নামতে পারে, যেখানে আরও বিক্রয় হতে থাকলে 1.3080 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।

*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

বিশ্লেষকদের পরামর্শসমূহের উপকারিতা এখনি গ্রহণ করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন

ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.