empty
 
 
bd
Support
Instant account opening
Trading Platform
Deposit/Withdraw

11.03.202508:53 ফরেক্স বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা: ১১ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

Exchange Rates 11.03.2025 analysis

মঙ্গলবার, খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলো মার্কিন JOLTs চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন, তবে এটি দুই মাস আগের তথ্য প্রতিফলিত করে এবং মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। এর বিপরীতে, গত সপ্তাহে প্রকাশিত বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজ যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

Exchange Rates 11.03.2025 analysis

যদিও মঙ্গলবার কোনো বড় ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, মার্কেটে এখনও উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা বিদ্যমান, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কোন বিরতি না নিয়েই ধারাবাহিকভাবে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, গত শুক্রবার, তিনি কানাডার সঙ্গে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনরায় আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি মূলত জাপানের জন্য বেশি লাভজনক। ফলে, সম্ভাবনা রয়েছে যে ট্রাম্প একাধিক দেশের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবেন, যা মার্কেটে আরও মার্কিন ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।

উপসংহার:

মঙ্গলবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগ দ্বারা ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক বা কোনো অপ্রত্যাশিত ভূরাজনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন—যেমন অস্ট্রেলিয়াকে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫২তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়—তাহলে ডলার আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্প কোনো ঘোষণা না দেন, তাহলে সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি হিসেবে মার্কেটে করেকশন দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

বিশ্লেষকদের পরামর্শসমূহের উপকারিতা এখনি গ্রহণ করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন

ইন্সটাফরেক্স বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনাগুলো আপনাকে মার্কেট প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন করবে! ইন্সটাফরেক্সের একজন গ্রাহক হওয়ায়, দক্ষ ট্রেডিং এর জন্য আপনাকে অনেক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.